কাকে বিশ্বাস করবেন? সিকিউরিটি গার্ড? ড্রাইভার? কাজের লোক? আত্বীয়স্বজন? না, আর কাউকে বিশ্বাস করতে হবে না। শুধু বিশ্বাস রাখুন বিশ্বস্ত সিকিউরিটি যন্ত্রপাতির উপর। কারণ এরা কখনই আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না কিংবা ডিউটির কথা বলে ঘুমিয়েও থাকবে না। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই
চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাস বেড়েই চলছে। আর সে কারনেই বিজ্ঞানীগণ চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাসী বন্ধ করতে আবিষ্কার করেছেন অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি।ডোর মেটাল ডিটেক্টর
সাধারণ একটি ডোর মেটাল ডিটেক্টর-এর নিচ দিয়ে হেটে গেলে পকেটে পয়সা, চাবির রিং বা মোবাইল ফোন থাকলে ডোর মেটাল ডিটেক্টর বেজে উঠে। কিন্তুু বর্তমানে পয়সা, চাবির রিং বা মোবাইল ফোন প্রায় প্রত্যেকের পকেটেই থাকে। সে কারণে একটি সাধারণ ডোর
মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে প্রত্যেককে চেক্্ করতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় এবং অনেক সময় নষ্ট হয়। আর এই অসুবিধা দূর করতে এলো একটি অসাধারণ ডোর মেটাল ডিটেক্টর। যার নিচ দিয়ে হেটে গেলে পয়সা, চাবির রিং বা মোবাইল ফোন থাকলেও বেজে উঠবে না। তবে অস্ত্র যেমন পিস্তল, রিভলভার, গ্রেনেড, বড় ছুরি সহজেই সনাক্ত করতে পারবে। অস্ত্র বহনকারীর ২টি ছবিও তুলে রাখবে, যা থেকে পরবর্তীতে অপরাধীকে খুঁজে পেতে সহায়ক হবে। শুধু তাই নয় স্বয়ংক্রীয় পুলিশকে ফোনও করতে পারে। আবার এই যন্ত্রটির একটি সূইচ টিপে একে সাধারণ ডোর মেটাল ডিটেক্টরেও পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ এই যন্ত্রটি আধুনিক যুগের অত্যাধুনিক ডোর মেটাল ডিটেক্টর। যা দিয়ে ইচ্ছেমত সব কাজই করানো যায়।
সিসিটিভি সিষ্টেম
সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম এর ব্যবহার আমাদের দেশে দশ-পনের বছর আগে শুরু হলেও পশ্চিমা দেশগুলোতে আরো বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরা সিষ্টেম তখন ছিল শুধু সাদা-কালো, এসব ক্যামেরায় অল্প আলোতেই পরিষ্কার ছবি দেখা যেত। পরবর্তিতে রঙ্গীন ক্যামেরা বাজারে আসলেও স্বচ্ছ ছবির জন্য প্রচুর আলোর প্রয়োজনীয়তার কারনে ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে অনেক কম আলোতেই রঙ্গীন ক্যামেরায় পরিষ্কার ছবি
দেখতে পাওয়া যায়। ফলে এখন আর সাদা-কালো সিসিটিভি ক্যামেরা বা সিষ্টেম উৎপাদন হচ্ছেনা। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী দুই ধরনের রঙ্গীন সিসিটিভি রেকডির্ং ও মনিটরিং সিষ্টেম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) সম্বলিত সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকডির্ং সিষ্টেম এবং পিসি বেড্ সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকডির্ং সিষ্টেম।
ব্যবহারের ভিন্নতার কারনে বর্তমানে রঙ্গীন সিসিটিভি ক্যামেরা বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন ঃ সাধারন ক্যামেরা, ডোম ক্যামেরা, হিডেন ক্যামেরা, স্পাই ক্যামেরা, স্পীড ্ ডোম পিটিজেড ক্যামেরা, ডে-নাইট ক্যামেরা, জুম ক্যামেরা, ভেন্ডাল প্রুফ ক্যামেরা এবং আই পি ক্যামেরা উল্লেখযোগ্য। জাতীয় নিরাপত্তা জনিত কারনে হিডেন ক্যামেরা ও স্পাই ক্যামেরার উপর আলোকপাত করা থেকে বিরত থাকলাম। কারন এই জাতীয় ক্যামেরা গুলো আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ ব্যবহার করেন।
ডোম ক্যামেরা
যে সমস্ত এলাকায় দেয়ালে ক্যামেরা লাগানোর সুবিধা নেই বা দেয়ালে লাগালে সামগ্রীক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়না, সেখানে এসব ডোম ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে। এসব ক্যামেরায় একটি নির্দ্দিষ্ট ধরনের লেন্স লাগানো থাকে এবং এসব ক্যামেরা সাধারনত ক্যামেরা মাউন্টিং
ব্রাকেট লাগেনা যাহা সাধারনত শুধু সিলিং এ লাগানো হয়। এই জাতীয় ক্যামেরা সাধারন লোকের জন্য চেনা একটু কঠিন। কারন এতে কোন লেন্স দেখা যায়না, অনেকটা বাতির মত দেখতে কালো আবরনে ঢাকা।
সাধারন ক্যামেরা
যে সমস্ত এলাকায় ঐ জায়গাটি সিসিটিভি সিষ্টেম দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রচার করার
প্রয়োজন হয়, সেসব জায়গায় নরমাল ক্যামেরা লাগানো হয়। যাদেরকে বডি ক্যামেরা বা বক্স ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে। সাধারনত মিল-ফ্যাক্টরী,
ব্যাংক-বীমা সহ অন্যান্য সব অফিসে প্রকাশ্যেই এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ জাতীয় ক্যামেরায় প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ধরনের লেন্স (ষ্ট্যান্ডাডর্ লেন্স, ওয়াই এ্যাঙ্গেল লেন্স এবং জুম লেন্স) লাগানো যায়। এসব ক্যামেরা, ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হয়।
স্পীড্ ডোম পি টি জেড ক্যামেরা
এই ক্যামেরাও দেখতে ডোম ক্যামেরার মতই কিন্তু এর ভিতরের মেকানিজম সম্পূর্ন আলাদা। যে সমস্ত এলাকা একটু বেশী স্পর্শকাতর এবং প্রয়োজনে ঐ এলাকায় প্রবেশকারী প্রত্যেককেই যাতে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করা যায় তার জন্য এই
ক্যামেরায় রয়েছে পি টি জেড (প্যান/টিল্ট/জুম) প্রযুক্তি। এই ক্যামেরা স্থির দেখা গেলেও এর ভিতরের চোখ (লেন্স) কন্ট্রোল রুম থেকে ইচ্ছামত ডানে-বামে অথবা উপরে-নীচে ঘুরিয়ে যেকোন সন্দেহ ভাজন চলমান ব্যক্তির সমস্ত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষন বা রেকডির্ং করা যায়।
ডে-নাইট ক্যামেরা
এই ডে-নাইট ক্যামেরাগুলোও দেখতে অনেকটা সাধারন ক্যামেরার মত এবং ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হলেও এর দক্ষতায় আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। এই ক্যামেরার লেন্স এর চতুর্দিকে সাজানো রয়েছে অনেকগুলো ইনফ্রা-রেড ইলুমিনেটর এবং একটি সেন্সর। দিনের বেলায় যেমন ঝকঝকে রঙ্গীন ছবি পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি নির্দ্দিষ্ট পরিমান আলো না থাকলে তখনই সেন্সরটি ইলুমিনেটর গুলোকে জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে অমাবশ্যা রাতের মত ঘুট-ঘুটে অন্ধকারেও ৫০ ফুট দূরের বস্তুু পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু মানুষের চোখ এই ইলুমিনেটর এর কোন আলোই চোখে দেখেনা।
ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)
কোন বড় অফিস বা মিল-কারখানার নিরাপত্তা ও কাজের গতি বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৮ বা ১৬ চ্যানেলের ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) এবং বিল্ট-ইন ডিভিডি রাইটার। এই সিষ্টেমে ৮-১৬ টি
ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কে রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট (স্ট্যাটিক আইপি) সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়।
পিসি বেজড্ সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকডির্ং সিষ্টেম
যারা একটু কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং সিষ্টেম চান তাদের জন্য পিসি বেজড সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেমই ভাল। ৮ চ্যানেলের সিষ্টেমের জন্য যেকোন একটি সিপিইউ এর পিসিআই সøটে একটি ডিভিআর কাডর্ (১৬ চ্যানেলের সিষ্টেমের জন্য দুটি ডিভিআর কার্ড) লাগিয়ে তার সাথে পাওয়া সফট্ওয়্যারটি ইন্সষ্টল করে নিয়ে এর সাথে একটি মাউস ও মনিটর হলেই সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকডির্ং সিষ্টেম দাঁড়িয়ে গেল। এবার ক্যামেরা গুলো এর সাথে সংযুক্ত করে চালু করলেই পেয়ে যাবেন কম খরচে সিসিটিভি মনিটরিং এবং রেকর্ডিং সিষ্টেম।
স্বয়ংক্রীয় কীপ্যাড ডোর লক্্ সিস্টেম
যে কোন দরজায় এই যন্ত্র লাগানো যায়। পাস্্ওয়ার্ড বা কোড নম্বর দিলে স্বয়ংক্রীয় দরজার লক্্ খুলে যাবে। যে কোনো সময় নিজর ইচ্ছামত পাসওয়ার্ড বা কোড নম্বর পরিবর্তন করা যায়। একটি পাস্্ওয়ার্ড বা কোড নং সকলে ব্যবহার করতে পারে। অথবা ইচ্ছে করলে ১০০ জন ভিন্ন ভিন্ন পাস্্ওয়ার্ড বা কোড ব্যবহার করতে পরে। কোন কার্ড ব্যবহারের প্রয়োজন নাই ভিতর থেকে বের হতে হলে এক্সিট বাটন চাপ দিলে দরজার লক খুলে যাবে। যে কোনো বাড়ি, অফিস বা এ্যাপার্টমেন্টের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এন্টারকম সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত করে কোনো আগšুÍকের সাথে কথা বলে এ্যাপার্টমেন্টের যে কোন ফ্লাট থেকে ইন্টারকমের একটি বাটন চেপে দরজার লক খুলে দেয়া যায়। এতে দারোয়ান বা নিচে নেমে এসে দরজা খোলার প্রয়োজন হয় না।
স্বয়ংক্রীয় এলার্ম সিস্টেম
এই যন্ত্র স্থাপনের ৮-১০ মিটারের মধ্যে কোনো লোক আসলেই স্বয়ংক্রীয় এলার্ম দিবে। একটি এলার্মের সংগে অনেকগুলো ফটোসেল ব্যবহার করা যায়। এলার্ম বা সাইরেন নিজেদের পছন্দমত স্থানে স্থাপন করা যায়। অন্ধকার বা
আলোতে সমান ভাবে কাজ করে। অথবা শুধু অন্ধকারেও কাজ করানো যায়। একটি ফটোসেল ১৪৫ ডিগ্রী এংগেলে কাজ করে। এলার্ম সময় ৫ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিট পযর্ন্ত সেট করা যায়। একবার এলার্ম বাজার পর ঐ এলাকায় কোনো লোক থাকলে আবারো স্বয়ংক্রীয় এলার্ম দিবে। একবার এলার্ম বাজার পর স্বয়ংক্রীয় পূণঃসেট হবে। প্রয়োজনে রিমোট কন্ট্রোল সুইচ ব্যবহার করা যায়। রিমোট কন্ট্রোল সুইচের মাধ্যমে এই সিস্টেমকে চালু বা বন্ধ করা যায়।
টাইম এন্ড এটেন্ডেন্স রেকর্ডারের
এতে রয়েছে দুধরনের ফাংশন টাইম এটেন্ডেন্স এবং বেসিক এক্সেস কন্ট্রোল। এটি ২০৪৭ জন পর্যন্ত কার্ডহোল্ডারের তথ্য ধারন করতে পারবে। এতে রয়েছে সময় প্রদর্শনের জন্য এলইডি এবং কার্ডহোল্ডারের নাম ও যাবতীয় তথ্য প্রদর্শনের জন্য এলসিডি ডিসপ্লে। এতে আরো আছে বিল্টইন ইউপ্রিসে এবং ৬০ দিনের তথ্য ধারন ক্ষমতা। ৮ বিট প্রসেসর যুক্ত এই সিকিউরিটি সিস্টেমে রয়েছে ২১ টি সুইচ, কার্ড সোয়াপ, পিন কোর্ড ও আরএফআইডি সুবিধা।
নেটপ্লানেট
নেটপ্লানেট বাংলাদেশে এনেছে ফুল ফাংশন এক্সেস কন্ট্রোলার এবং টাইম এন্ড এটেন্ডেন্স রেকর্ডার। ফুল ফাংশন এক্সেস কন্ট্রোলারের রয়েছে দু’ধরনের ফাংশন এক্সেস কন্ট্রোল এবং বেসিক টাইম এন্ড এ্যাটেন্ডেন্স। ৪০৯৬ জন কার্ডহোল্ডারের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন এই ডিভাইসটিতে রয়েছে সোয়াপ কার্ড এবং পিন কোড ব্যবহারের সুবিধা। এতে আরো সংযুক্ত আছে বের হবার সুইচ। যার মাধ্যমে কোন কার্ডহোল্ডার তার কার্ডটি সোয়াপ করে অথবা পিনকোড প্রবেশ করিয়ে দরজা খুলতে পারবে। এতে আরো রয়েছে ৩টি সেন্সর, এলসিডি ডিসপ্লে এবং ১৫টি সুইচ।
Hey There. I discovered your blog the use of msn. This is a really well written article.
ReplyDeleteI'll be sure to bookmark it and return to read extra of your helpful information. Thank you for the post. I'll definitely comeback.
You are welcome to my Blog
ভাই আমি আপনাকে আমার ব্লগ bdtipstech.blogspot.com লেখক হিসেবে যোগ করতে চাই।যদি ইচ্ছে হয় এখান থেকে sign up ফ্রম পূরন করুন তাহলে আপনাকে ইনভাইটেশন পাঠাবো।
ReplyDelete