Wednesday, January 26, 2011

২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি

সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন পরে কেন যেন মনে হল কম্পিউটার জগৎ সাইটা একটু ঘুরে দেখী। দেখলাম ‘১০ সালের কিছু আধুনিক সাফল্যময় কিছু প্রযুক্তি,  তাই মনে হল এগুলো আরো কেহ জানুক। তাই এগুলে একটা পোষ্ট দিলাম।
২০১০ সালের আধুনিক প্রযুক্তির ভিতর  স্কয়ার, মোবাইল পেমেন্ট প্লাটফর্ম, থ্রিডি চশমা, গুগল চালকবিহীন গাড়ি, পরিধানযোগ্য ক্যামকর্ডার, ফ্লিপবোর্ড ইঙ্ক, ডিসিটফুল রোবট, প্রতারক রোবট, ব্লুম বক্স, আইপ্যাড, ই-লেগ এগুলে  ইউজার ফ্রেন্ডলী।
স্কয়ার : মোবাইল পেমেন্ট প্লাটফর্ম

RPS certificates 1293782177 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
স্কয়ার হচ্ছে একটি মোবাইল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে আপনি অর্থ গ্রহণ-প্রেরণ করতে পারবেন। এজন্য আপনার থাকা চাই শুধু একটা স্মার্টফোন। বর্তমানে ‘স্কয়ার’ কাজ করবে শুধু আইফোন, আইপ্যাড, আইপড
(দ্বিতীয় কিংবা এর পরবর্তী প্রজন্মের) ও কয়েকটি এনড্রয়িড ডিভাইসে। কোন কোন ডিভাইসে তা কাজ করবে, এর একটি তালিকাও এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। স্কয়ার কাজ করে খুব সহজে। শুধু স্কয়ার ডিভাইসটি একটি ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক দিয়ে আপনার ডিভাইসে প্লাগ করে দিন। এরপর স্কয়ার অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করুন। এবার আপনি যে পরিমাণ অর্থ কোনো ব্যক্তির কার্ডে চার্জ বা সুইপ করতে চান তা এন্টার করুন। কাজটা খুবই সহজ। একবার কাউকে চার্জ অথরাইজ করলে, ওই ব্যক্তি চার্জের জন্য সাইন করতে পারবে। ঠিক যেমন একটি দোকান থেকে যেনো কিছু কিনলেন। স্কয়ার আপনার অনলাইনে যাবতীয় লেনদেনের হিসেব রাখে একটি অনলাইন কন্ট্রোল প্যানেলে। এর মাধ্যমে ই-মেইল করে প্রেরকের কাছে রসিদও পাঠানো যায়। কত টাকা লেনদেন করা যাবে এর মাধ্যমে, তার কোনো সীমা নেই।
উন্নততর থ্রিডি গ্লাস
RPS certificates 1293782703 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes 
Avatar থ্রিডি মুভির সীমাবদ্ধতা উৎরে গেছে। কিন্তু eyewear থেকে গেছে পেছনে। থ্রিডি চশমা ছবির উজ্জ্বলতা ৫০ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয়। কাছে দেখতে যদি আপনার সমস্যা থাকে, তবে আপনাকে থ্রিডি চশমা পরতে হবে আপনার নিয়মিত পরার চশমার উপরে, অস্বস্তি এড়ানোর জন্য। এ অবস্থা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে Oakley Inc. আপনার জন্য নিয়ে এসেছে নতুন উন্নতর থ্রিডি চশমা। এ চশমা উদ্ভাবনে ওকলের সাথে অংশ নিয়েছে DramWarks Animation নামের প্রতিষ্ঠান। এ চশমাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অপটিক্যালি কারেক্ট লেন্স’ হিসেবে। কারণ, এ চশমা পরলে ছবি আরো স্পষ্ট দেখা যাবে। থ্রিডি ছবির ভূতুড়ে ভাব দূর হবে। স্যামসাং এর থ্রিডি টিভির জন্য বাজারে ছাড়ছে ‘প্রেসক্রিপশন গ্লাস’ নামের চশমা। উভয় ক্ষেত্রে ছবি দেখা মানে বাস্তবতার ছোঁয়া মেলা। 


গুগল চালকবিহীন গাড়ি
RPS certificates 1293782772 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes

 ‘গুগল ড্রাইভারলেস কার’ হচ্ছে গুগলের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্প চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট। প্রকল্পটির বর্তমান নেতৃত্বে রয়েছেন গুগল প্রকৌশলী সেবাস্টিয়ান থ্রুন। তিনি ‘স্টানফোর্ড’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবরেটরির পরিচালক এবং ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ’-এর সহ-উদ্ভাবক। তার টিম স্টানফোর্ডে উদ্ভাবন করেছে রোবট যান ‘স্ট্যানলি’, যা লাভ করে ‘2005 DARPA Grand Challenge’ এবং এর ২০ লাখ ডলারের পুরস্কার। তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ। গুগল চালকবিহীন গাড়ি ব্যবস্থাটি উদ্ভাবনের জন্য যে টিমটি কাজ করছে, তাদের মধ্যে আছেন গুগলে কর্মরত ১৫ জন প্রকৌশলী। তাদের মধ্যে রয়েছেন মাইক মনটেমেরলো এবং অ্যান্থনি লেভানডস্কি। এরা দুজনেই DARPA Challenge-এর ওপর কাজ করেছেন।
RPS certificates 1293783399 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunesটি কী কোনো অটোমোবাইল? কোনো aut2.omobile? এর যেকোনো নামেই একে ডাকতে পারেন। গুগলের নতুন এই ব্যবস্থায় তথ্য সংগ্রহ করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ’-এর জন্য। আর এতে ইনপুট দেয়া হয় গাড়ির ভেতরে থাকা ভিডিও ক্যামেরা, গাড়ির একদম উপরে রাখা একটি LIDAR সেন্সর, গাড়ির সামনে রাখা রাডার সেন্সর এবং চাকায় লাগানো একটি পজিশন সেন্সর যা মানচিত্রে গাড়ির পজিশন বা অবস্থান জানতে সাহায্য করে থেকে। ২০১০ সাল পর্যন্ত সময়ে গুগল এ ব্যবস্থাসমৃদ্ধ বেশ কয়েকটি যান পরীক্ষা করে দেখেছে। এগুলো মানুষ ছাড়াই ১০০০ মাইল/১৬০০ কিলোমিটার পথ চলেছে। আর মাঝেমধ্যে মানুষের সাহায্য নিয়ে পথ অতিক্রম করেছে ১৪০,০০০ মাইল/২৩০,০০০ কিলোমিটার। ড্রাইভারলেস টেকনোলজি যেমনি লজিক্যাল, তেমনি কার্যকর। ভবিষ্যতে তা আমাদের দেবে শঙ্কাহীনভাবে মোটরাইজড সোফায় আরামদায়ক গাড়ি চলার সুযোগ।
লুকসি
RPS certificates 1293782842 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
Looxcie (উচ্চারণ Look-see) হচ্ছে একটি পরিধানযোগ্য ক্যামকর্ডার। সোজা কথায় ক্যামেরা। এটি কানে পরিধান করা যায়। হাত লাগানোর প্রয়োজন নেই।
এর সাথে চোখের সামনে যা দেখা যায়, তা একটানা ৫ ঘণ্টা ভিডিও করা যায়। আর একটি বোতাম টিপে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থাৎ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এই ভিডিও ক্লিপিং ই-মেইল করা যায়। কিংবা তা পোস্টিং করা যায় ফেসবুক, ইউটিউব অথবা টুইটারে। লুকসি সবসময়ই অন থাকে। অব্যাহতভাবে এটি ভিডিও ধারণ করে চলে। এর কোনো রেকর্ড বাটন নেই।
যখন আপনি কোনো কিছু শেয়ার করতে চাইবেন, তখন শুধু ইনস্ট্যান্ট ক্লিপ বাটনে ক্লিক করুন, ক্লিপ সেভ করার জন্য। বর্তমানে লুকসি নিয়ন্ত্রিত হয় একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এখন এটি একটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সাপোর্ট করে সুনির্দিষ্ট কিছু অ্যানড্রয়িড ফোন। এর মাধ্যমে আপনার ফোনকে ব্যবহার করা যায় একটি ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে। শিগগিরই তা ভবিষ্যত স্মার্টফোন প্লাটফরম সাপোর্ট করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইপ্যাড
RPS certificates 1293783406 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | TechtunesiPad হচ্ছে একটি ট্যাবলেট কমপিউটার। এর উদ্ভাবক অ্যাপল। এটি বিশেষ করে বাজারজাত করা হয়েছে অডিও ভিজুয়্যাল মিডিয়া তথা বই, সাময়িকী, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, গেম ও সেই সাথে ওয়েব কনটেন্টের একটি প্লাটফরম হিসেবে।
এর ওজন দেড় পাউন্ড। অন্য হিসেবে ৬৪০ গ্রাম। বলা যায় এর আকার আর ওজন আজকের দিনের একটি স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের মাঝামাঝি। অ্যাপল এই আইপ্যাড বাজারে ছাড়ে ২০১০ সালের এপ্রিলে। ৮০ দিনের মধ্যে এর ৩০ লাখ ডিভাইস বিক্রি হয়। আইপ্যাডে চলে এর অপেক্ষাকৃত পুরনো সংস্করণ iPod Touch এবং iPhone-এর মতো একই অপারেটিং সিস্টেমে। এটি চলতে পারে এর নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনে, সেই সাথে চালাতে পারে আইফোনের জন্য ডেভেলপ করা অ্যাপ্লিকেশনও।
কোনো মডিফিকেশন ছাড়া এটিতে শুধু অ্যাপলের অনুমোদিত প্রোগ্রাম চালানো যাবে। এই প্রোগ্রাম পরিবেশিত হয় অ্যাপলের অনলাইন স্টোরগুলোর মাধ্যমে।
RPS certificates 1293782918 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
আইফোন ও আইপড টাচের মতো আইপ্যাড নিয়ন্ত্রিত হয় মাল্টিচাড ডিসপ্লে’র মাধ্যমে। এটি হচ্ছে সবচেয়ে পুরনো ট্যাবলেট কমপিউটার থেকে একটি বড় ধরনের উত্তরণ। পুরনো যে ট্যাবলেট কমপিউটারে ব্যবহার হতো তা প্রেসার-ট্রিগারড স্টাইলাস। আইপ্যাড ইন্টারনেট ব্রাউজ, মিডিয়া লোডিং ও স্ট্রিমিং এবং সফটওয়্যার ইনস্টল করার জন্য একটি ওয়াই-ফাই ডাটা কানেকশন ব্যবহার করে। কিছু কিছু মডেলে রয়েছে একটি থ্রিজি ওয়্যারলেস ডাটা কানেকশন। ব্যবসায়িক ও শিক্ষাক্ষেত্রে আইপ্যাড বেশ ব্যবহার হচ্ছে। জনৈক বিশ্লেষকের মতে, কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিকসের ইতিহাসে আইপ্যাড হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রির একটি নন-ফোন যন্ত্র।

ফ্লিপবোর্ড
RPS certificates 1293782962 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
Flipboard হচ্ছে অ্যাপলের iPad ট্যাবলেট কমপিউটারের জন্য একটি সোশ্যাল ম্যাগাজিন অ্যাপ্লিকেশন। এটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের Palo Alte নগরীভিত্তিক কোম্পানি ফ্লিপবোর্ড ইঙ্ক.। আপনার বন্ধুরা ফেসবুক ও টুইটারে শেয়ার করছেন নানা সংবাদ, ছবি ও আপডেটস। এসবে ঢুকে পড়ার জন্য ফ্লিপবোর্ড হচ্ছে একটি দ্রুত ও চমৎকার উপায়।
আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন একটি ম্যাগাজিন লে-আউটে, যা সহজে স্ক্যান করা যাবে কিংবা আনন্দের সাথে পড়াও যাবে। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন আর্টিকেল ও ফটো শেয়ার করতে পারবেন, মন্তব্য কিংবা পছন্দের কিছু পোস্ট করতে পারবেন। টুইটারে প্রিয়জন, তালিকা ও ব্লগে সৃষ্ট সেকশনের সাথে আপনার ফ্লিপবোর্ড কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন।
আপনার পছন্দের সবকিছু এক জায়গায় পেতে আপনার ফ্লিপবোর্ড সবকিছু। এটি আপনার ম্যাগাজিন। এটি আপনার ফ্লিপবোর্ড। অনেকেই বলছেন, ফ্লিপবোর্ড হচ্ছে একটি ফ্যান্টাস্টিক আইপ্যাড অ্যাপ্লিকেশন। এর ফ্লিপবোর্ড আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে আরো ভালোভাবে নিউজের জন্য ওয়েব ব্রাউজ করার। এর ম্যাগাজিন স্টাইলে লেআউট ও মজাদার ছবি এবং হোয়াইট স্পেস ডিজিটাল মিডিয়াকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়ার পথ করে দিয়েছে। ফ্লিপবোর্ড ফেসবোর্ড আপডেট ও টুইটসকে রূপান্তর করেছে একটি ডিজিটাল ম্যাগাজিনে। আপনার আইপ্যাডের জন্য ফ্লিপবোর্ড ডাউনলোড করেই দেখুন। নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।

ই-লেগ
RPS certificates 1293782581 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
আমরা জানি প্যারাপ্লেজিয়া রোগীর নিম্নাঙ্গ অসাড়-অবশ থাকে। ফলে এরা হাঁটতে সক্ষম হয় না। অবশ্য এমন রোগীর অনেকেই কোনোমতে দাঁড়াতে সক্ষম হন, কিন্তু পা বাড়িয়ে হাঁটতে পারেন না নিজের শক্তি ব্যবহার করে। তাদের জন্যই আসছে elegs, এটি একটি উদ্ভাবনীমূলক exoskeletion।
এটি একটি কৃত্রিম রোবট পা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার মাধ্যমে এ পা পরিধানকারীর বাহুর ইশারা পাঠ (read) করা যায় কয়েকটি ক্র্যাচের মাধ্যমে। ফলে এর মাধ্যমে মানুষের হাঁটার শক্তিকে উজ্জীবিত করা যায়। এটি এ ধরনের প্রথম একটি যন্ত্র। সৈনিকেরা পিঠের ওপর ভারি জিনিস বহন করার বেলায় এক ধরনের মিলিটারি এক্সো স্কেলেটন ব্যবহার করে। সে ধারণা থেকে প্যারাপ্লেজিয়া রোগীদের জন্য এই ই-লেগ উদ্ভাবনের প্রেরণা পান এর উদ্ভাবকেরা। এটি প্রাথমিকভাবে কিছু পুনর্বাসন কেন্দ্রতেই পাওয়া যাবে। প্রশিক্ষিত ফিজিওথেরাপিস্ট তা ব্যবহার করবেন রোগীদের জন্য। সাধারণভাবে তা বাজারে পাওয়া যাবে ২০১৩ সালের দিকে।

সারকাজম সফটওয়্যার
RPS certificates 1293782385 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
Sarcasm সফটওয়্যার হচ্ছে এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত সফটওয়্যারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার। মনে হচ্ছে, এটি সেই সফটওয়্যার ঠিক যেমনটি আমরা চেয়েছিলাম। মানুষের ভাষা বোঝার ক্ষেত্রে কমপিউটার দিন দিন বেশি থেকে বেশি দক্ষ হয়ে উঠছে। এর জন্য অংশত ধন্যবাদ পেতে পারে অ্যালগরিদম। অ্যালগরিদম বিশ্লেষণ করতে পারে বাক্য- ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় সেন্টিমেন্টের জন্যই। এ দাবি ইসরাইলের জেরুজালেমের হিরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারি র্যা পোপোর্ট। কিন্তু ব্যঙ্গচিত্র চেনা এখনো সমস্যাই থেকে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে মানুষই ব্যঙ্গচিত্র চিনতে পারে না। কিন্তু কমপিউটার তা পারে।র্যা পোপোর্ট ও তার সহকর্মীরা প্রণয়ন করেছেন একটি Sentiment-analysis program। এর পর এরা এই সফটওয়্যারটিকে প্রশিক্ষিত করে তুলেছেন যাতে ব্যঙ্গচিত্র (Sarcasm) চিনতে পারে। এই অ্যালগরিদম এর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে যথার্থ নির্ভুল। পরীক্ষামূলকভাবে ৬৬ হাজার আমাজন রিভিউয়ে এটি সঠিক ছিল ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে। এ থেকে এটুকু স্পষ্ট কমপিউটার শুধু আপনার কথা চেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, আপনার মনোভাব তথা সেন্টিমেন্টও চিনতে পারবে, ব্যাখ্যা করতে পারবে।

বডি পাওয়ার্ড ডিভাইস

RPS certificates 1293783334 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
বডি পাওয়ার্ড ডিভাইস। নাম থেকে স্পট এটি হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস বা যন্ত্র, যা চলবে মানুষের শরীর উৎপাদিত বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, আমরা যখনই কোনো কিছু করি তখন শরীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। একবার শ্বাস নিলে শরীরে সৃষ্টি হয় ১ ওয়াট বিদ্যুৎ। হাঁটার সময় ১টি স্টেপ বা পদক্ষেপ থেকে উৎপাদিত হয় ৭০ ওয়াট বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎকে যদি আমরা কাজে লাগিয়ে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালাতে পারি, তাহলে সত্যিই মজার ব্যাপার হবে। বিশেষ করে বিদ্যুতের এই আকালের দিনে এমনটি হলে তো আনন্দের ব্যাপারই হবে।
চলতি বছরে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল ম্যাকআলপাইন ও তার সহকর্মীরা চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন কী করে লোকোমেশন তথা মানুষের ভ্রমণশীলতাকে বিদ্যুতে রূপান্তারিত করে বিদ্যুতে রূপান্তর করা যায়। আর এ কাজটি এরা করবেন একটি ফ্লেক্সিবল বায়োকম্পাটিবল রাবারের মতো বস্ত্ততে plezoelectric erystals এমবেডিং করে। যখন এই বস্ত্ত বাঁকা হবে বা গঠন পরিবর্তন করবে তখন ওই ক্রিস্টাল বিদ্যুৎ জ্বালানি তৈরি করবে। ধরুন এই ক্রিস্টালটি জুতায় লাগিয়ে দেয়া হলো, কিংবা ওই ক্রিস্টাল সরাসরি শরীরে জুড়ে দেয়া হলো, তাহলে ব্যক্তির চলাচলের সময় ওই ক্রিস্টাল যে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হবে, তা দিয়ে আমরা পার্সোনাল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কিংবা ইন্টারনাল মেডিক্যাল ডিভাইস চালাতে পারব।
তথ্যপযুক্তি জগতের নানা পণ্য চালানো যাবে শরীর থেকে পাওয়া এ বিদ্যুৎ দিয়ে। এদিকে টেলিযোগাযোগ প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান Orange সূচনা করেছে Orange Power Wellis নামের একটি প্রটোটাইপ। এটি একটি রাবারের বুট জুতা। এটি শরীরের তাপ (heat) বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে। ব্রিটেনের গ্লাসটনবারি একটি ফেস্টিভালে প্রথমবারের মতো এই জুতার ডেমো প্রদর্শিত হয়। এর বর্তমান মডেলের জুতা পরে বারো ঘণ্টা হাঁটলে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, তা দিয়ে একটি সেলফোন চার্জ করা যায় এক ঘণ্টার জন্য। অবশ্য স্বল্প জায়গায় যদি প্রচুর মানুষকে জড়ো করা যায়, তবে দেহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তাদের চলাচলের প্রয়োজনও হবে না। প্যারিসে প্রকৌশলীরা শরীরের উষ্ণতাকে ব্যবহার করে মেট্রো সাবওয়ের পাবলিক হাউজিং প্রজেক্ট উত্তপ্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১১ সালের মধ্যে Metro Heating System এই হাউজিং প্রজেক্টের হিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেখানকার কার্বন উদগীরণ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে

আইরাইটার
RPS certificates 1293783393 ২০১০ সালের সেরা কিছু প্রযুক্তি  | Techtunes
 আপনার মগজ সক্রিয়। কিন্তু আপনার শরীরটা সক্রিয় নয়, নিষ্ক্রিয়। এই যদি হয় আপনার অবস্থা, তাহলে আপনি অন্যদের সাথে কী করে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন? এক্ষেত্রে আপনার সহায়তার জন্য এগিয়ে আসবে EyeWriter।
কম দামের Eye-Tracking glass আর ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই আইরাইটার। যেকোনো ধরনের নিউরোমাসকুলার সিনড্রোমের শিকার মানুষ
এই আইরাইটার ব্যবহার করে চোখ নড়াচড়া করে লিখতে ও আঁকতে পারবে, যা পর্দায় ভাষান্তরিত হয়ে দেখা যাবে।
ইবেলিং গ্রুপ, নট ইমপসিবল ফাউন্ডেশন এবং গ্র্যাফিথি রিসার্চ ল্যাব উদ্ভাবন করেছে এই আইরাইটার। এই যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়েছে Tony ‘Tempt’ Quan-এর জন্য।
টনি ‘টেম্পট’ কুয়ান হচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক একজন গ্র্যাফিথি আর্টিস্ট। ২০০৩ সালে তার Lou Gehrig রোগ ধরা পড়ে। আইরাইটার ব্যবহার করে তিনি প্যারালাইজড হওয়ার পর এই প্রথম যা ইচ্ছে তাই আঁকতে পারছেন। কুয়ান বললেন, এটি মনে হচ্ছে ৫ মিনিট পানির নিচে থাকার পর পানির উপরে ওঠে একটি নিশ্বাস হওয়ার মতো অবস্থা।

No comments:

Post a Comment